নিজস্ব প্রতিবেদন : চট্টগ্রাম কণ্ঠ
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী কোরবানির পশু বর্জ্যসহ সব ধরণের আবর্জনা অপসারণে স্বাস্থ্য বান্ধব পরিবেশ রক্ষায় যে সফলতা অর্জিত হয়েছ সে জন্য নগরবাসীকে ধন্যবাদ জানান। নগরীবাসীর প্রতি এক কৃতজ্ঞতা বার্তায় তিনি বলেন, অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে কোরবানির ঈদেও পশু বর্জ্য দ্রæততম সময়ের মধ্যে অপসারণে চসিকের সামর্থ্য অনুযায়ী যে সকল নির্দশনা প্রদান করা হয় তা যথাযথভাবে নাগরিক সমাজ পালন-করেছেন এবং চসিক নিয়োজিত জনবল যথার্থভাবে অর্পিত দায়িত্ব সম্পাদন করেছেন।
তিনি উল্লেখ করেন, করোনাকালে কোরবানি পশু জবেহ করা এবং পরবর্তীতে বর্জ্য অপসারণে যে-সকল নীতি ও কর্মপন্থা গৃহীত এবং বাস্তবায়িত হয়েছে তা অতীতের সাফল্যেও ধারাবাহিকতা হিসেবে এবারও যথার্থ ভাবে অনুসৃত হয়েছে বলেই চট্টগ্রাম নগরীকে কোরবানি উত্তর বিকেল ৫টার মধ্যেই বর্জ্য মুক্ত করণ করে স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বান্ধব নগরীর বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে। তিনি আশ^স্থ প্রকাশ করে বলেন, ধর্মীয় আবেগ-অনুভূতিকে শ্রদ্ধায় রেখে এবার ঈদুল আযহাকে উপলক্ষ করে সরকার লকডাউনের যে শৈথিল্যতা প্রদান করেছেন তাতে নগরবাসী অবশ্যই সাড়া দিয়েছেন এবং এটাই ভবিষ্যতে সকল সংকট মুক্তির শক্তি আশা করি আগামী ঈদুল আযাহা আমরা স্বাভাবিক ভাবেই পালন করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
মেয়র আরো বলেন, বর্জ্য অপসারণের ক্ষেত্রে কোন বিচ্যুতি বা শ্লৈথতা থাকলে তা অবহিত করার জন্য নগরবাসীকে চসিকের কন্ট্রোল রুমে জানাতে বলা হলেও কাজ শেষে এ ধরণের কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তাই দায়বদ্দতা পালনে চসিক সচেষ্ট ও সক্রিয় ছিল, আছে এবং থকবেই। তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন ও যান্ত্রিক বিভাগের সেবা পরিসংখ্যান উল্লেখ করে জানান, ঈদুল আযাহার দিন বর্জ্য অপসারণ কাজে সাড়ে চার হাজার শ্রমিক নিয়োজিত থেকে তিনশত সতেরটি গাড়ীর মাধ্যমে প্রায় ৭ হাজার টন বর্জ্য ও ঈদের দ্বিতীয় দিন প্রায় ৩ হাজার শ্রমিক দ্বারা ২শত ২০টি গাড়ী দ্বারা সাড়ে ৫ হাজার টন বর্জ্য নগরী থেকে তুলে দুটি টেন্সিং গ্রাউন্ডে ডাম্পিং করা হয়।
বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন-চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি মো.মোবারক আলী, ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, হাসান মুরাদ বিপ্লব, আবদুল বারেক, এসরারুল হক, চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা সফিকুল মান্নান সিদ্দিকী যিশু, প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, ঝুলন কুমার দাশ, নির্বাহী প্রকৌশলী, মির্জা ফজলুল কাদের, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রনব শর্মা প্রমুখ।
Leave a Reply